লিওনেল মেসি বিশ্বকাপে যে রেকর্ড করেছেন - লিওনেল মেসি ক্যারিয়ারে যে কয়টি রেকর্ড আছে
লিওনেল মেসি তিনি এমন একজন ফুটবল প্লেয়ার তিনি প্রতিনিয়ত রেকর্ড গড়ার কাজে লেগে থাকে।তার পায়ের জাদুতে নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করে, এবং অন্য সবার রেকর্ড ভেঙে নিজের নামে করে নেন। বিশ্বের সকল ফুটবল প্লেয়ার দের রেকর্ড ভেঙে,তাদের রেকর্ডার জায়গায় লিওনেল মেসি তার নাম করে রেখেছেন। তার ক্যারিয়ারে অসংখ্য রেকর্ড করেছেন।
তার জীবনে একটি রেকর্ড করা অপূর্ণ ছিল সেটি হল বিশ্বকাপ। তিনি তার ক্যারিয়ারে এই রেকর্ডটিও তার দখলে করে নিয়েছেন, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে। তার জীবনে একটি বিশ্বকাপ অর্জন করা খুব দরকার ছিল সেটি ও পূরণ করে ফেলেছেন।
পোস্ট সূচিপত্র : লিওনেল মেসি বিশ্বকাপে যে রেকর্ড করেছেন - লিওনেল মেসি ক্যারিয়ারে যে কয়টি রেকর্ড আছে
বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির যতো রেকর্ড
পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে দলের জয়ে অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই একের পর এক রেকর্ড ভাঙতে গড়তে থাকেন সুপারস্টার লিওনেল মেসি ফাইনালেও গড়েছেন রেকর্ড। এ যেন মেসির রেকর্ডের বিশ্ব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পায়।
আর্জেন্টাইন ফুটবলার লিওনেল মেসির হাতে উঠেছে বিশ্ব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি যা কেটে যায় ৩৬ বছরের শিরোপা খরা। সৌদি আরবের কাছে হেরে বিশ্বকাপের শুরুতে হোঁচট খেয়েছিল আর্জেন্টিনা কিন্ত পুরো টুর্নামেন্টেই ভালো পারফরম্যান্স দেখায় টিম আর্জেন্টিনা। ২০২২ বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির অবদান ছিল অনেক ।
টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে দলের জয়ে অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন লিওনেল মেসি। আসরের শুরু থেকেই একের পর এক রেকর্ড ভাঙতে থাকেন লিওনেল মেসি ,ফাইনালে ওঠে গড়েছেন রেকর্ড যা অন্যদের এই রেকর্ড করা অসম্ভব। এ যেন মেসির রেকর্ডের বিশ্বকাপ।
কাতার বিশ্বকাপটি মেসির পঞ্চম বিশ্বকাপ। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের এটি শেষ বিশ্বকাপ ও হতে পারে । আর সে কারণেই ২০২২ বিশ্বকাপকে রেকর্ড ভাঙা ও গড়ার মঞ্চ হিসেবে বানিয়ে নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি।
চলুন এক বার দেখে আসি কাতার বিশ্বকাপের মেসির রেকর্ডগুলো কী। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার হলেন লিওনেল মেসি।
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেই রেকর্ড গড়েছিলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার হিসেবে নিজের নাম লেখান রেকর্ডবুকে লিওনেল মেসি। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালটি ছিল বিশ্বকাপে মেসির ২৬তম ম্যাচ। আর এটা লিওনেল মেসি জীবনে বড় রেকর্ড।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে তিনি ছুঁয়েছিলেন লোথার ম্যাথিউসের ২৫ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ভেঙ্গে তার নিজের নাম লেখান লিওনেল মেসি।বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সময় খেলার রেকর্ডটি এতদিন নিজের ঝুলিতে রেখেছিলেন ইতালির ডিফেন্ডার পাওলো মালদিনি। ক্যারিয়ারে ২ হাজার ২১৭ মিনিট বিশ্বকাপের মঞ্চে মাঠে ছিলেন এ তারকা।রেকর্ডটি মেসি প্রায় ছুঁয়ে রেখেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের ম্যাচেই।
ফাইনালে রেকর্ডবুকে নাম তুলতে তার প্রয়োজন ছিল ২৪ মিনিট মাঠে থাকার। সেই রেকর্ড ভেঙে ফ্রান্সের বিপক্ষে পুরো ১২০ মিনিট খেলে সেই রেকর্ড ভেঙে মেসি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ২ হাজার ৩১৪ মিনিট বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলে মালদিনিকে হটিয়ে রেকর্ডবুকে নাম তুলেছেন এ সুপারস্টার লিওনেল মেসি ।
বিশ্বকাপে সর্বাধিক ম্যাচ খেলা অধিনায়ক।বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে ১৯টি ম্যাচ খেলেছেন লিওনেল মেসি। সেমিফাইনালে ম্যাক্সিকোর রাফায়েল মারকুয়েজকে সরিয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়া অধিনায়ক হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। একই সঙ্গে আর্জেন্টিনার হয়েও সর্বোচ্চ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেয়া অধিনায়ক তিনিই।
বিশ্বকাপে সর্বাধিক ম্যাচ জেতার রেকর্ড।এখন পর্যন্ত ৫ বিশ্বকাপে ১৭টি ম্যাচ জিতেছেন লিওনেল মেসি। আর সেই সুবাদে নাম লিখিয়েছেন সাবেক জার্মান ফুটবলার মিরোস্লাভ ক্লোসার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা ফুটবলার হিসেবে নাম লিখেছেন লিওনেল মেসি।
বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বাধিক ম্যাচসেরা হওয়া।কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকে শুরু করে ফাইনাল পর্যন্ত পাঁচবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের মঞ্চে এমন নজির প্রথম।
বিশ্বকাপে সর্বাধিক অ্যাসিস্ট।কাতার বিশ্বকাপের আসরে মেসি গোল করিয়েছেন ৪টি। এ নিয়ে টানা ৫ বিশ্বকাপে অ্যাসিস্ট করলেন আর্জেন্টাইন এই তারকা লিওনেল মেসি। এমন রেকর্ড আর কারও নেই। লিওনেল মেসি বলে কথা
লাতিন আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলদাতা।সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে ৭ গোল করেছেন লিওনেল মেসি। আর তাতেই লাতিন আমেরিকার পুরুষদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে নিজের জায়গা করে নেন লিওনেল মেসি।
বিশ্বকাপের নকআউটের সব ম্যাচে গোল।কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্ব তথা শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোলের দেখা পেয়েছেন লিওনেল মেসি। এমন নজির লিওনেল মেসিই রেকর্ড প্রথম গড়েছেন।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচসেরা হওয়া।এখন পর্যন্ত ৫ বিশ্বকাপে লিওনেল মেসি ১১ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন। আর তাতেই লিওনেল মেসি পেছনে ফেলেছেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোকে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো ম্যাচ সেরা হয়েছেন ৭ বার।বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা,এখন পর্যন্ত পাঁচ ফুটবলার সর্বোচ্চ পাঁচবার খেলেছেন বিশ্বকাপ। ১৯৬৬ সালের পর ষষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন লিওনেল মেসি।
বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল্ডেন বল জয়,কাতার বিশ্বকাপে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গোল্ডেন বল জিতেছেন লিওনেল মেসি। আর তাতেই প্রথম ফুটবলার হিসেবে দুইবার গোল্ডেন বলের মালিক হলেন লিওনেল মেসি ।
মেসির কি কি রেকর্ড আছে
সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। এ নিয়ে কারও সন্দেহ হওয়ার কথা নয়। উজ্জ্বল ক্যারিয়ারে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এর মধ্যে কয়েকটি রেকর্ড যা কখনোই ভাঙবে না মনে হয়।
এছাড়াও একজন অসাধারণ গোলদাতা হিসেবে লিওনেল মেসি দখলে রয়েছে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোল (৪৪০), লা লিগা ও ইউরোপের যেকোনো লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৫০), ইউরোপে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৭৩), এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোল (৯১), এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল (২৬) এবং লা লিগা (৩৪) ও চ্যাম্পিয়নস লিগে (৮) সর্বোচ্চ ।
এখন পর্যন্ত বার্সার জার্সি গায়ে ৪০০ ম্যাচ খেলেছেন খুদে জাদুকর লিওনেল মেসি। করেছেন ৩৬৫ গোল। ম্যাচ প্রতি গোলের হার ০.৯১। ক্লাবটির হয়ে এটি অনন্য রেকর্ড। যা আর কেউ করে দেখাতে পারবে বলে মনেহয় না । এক লা লিগা মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি। ২০১১/১২ মৌসুমে ৫০ গোল করেন তিনি। যা কখনো কেউ ভাঙতে পারবে না বলে মত তাদের।
বরং এসব রেকর্ড আরও মজবুত হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, মেসির বয়স এখন ৩৫। তবু গোলক্ষুধা একটুও কমেনি। বরং তার ফুটবল মস্তিষ্ক আরও ক্ষুরধার হয়ে উঠছে। চলতি মৌসুমে এর জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি অবিশ্বাস্য একজন ফুটবলার
আরো পড়ুনঃ হোয়াটসঅ্যাপে নিজেকে কীভাবে মেসেজ করবেন
মেসির ১৫ অবিশ্বাস্য রেকর্ড
ভিনগ্রহের প্লেয়ার বা রেকর্ড এর বরপুত্র যে নামেই ডাকুন না কেন, বর্তমান বিশ্বের সবথেকে বিধ্বংসী এবং ট্যালেন্টেড ফুটবলার – লিওনেল আন্দ্রেস মেসি কে । ৩৫ বছর বয়সেই মেসি যে পরিমাণ এবং যে মাপের রেকর্ড এর মালিক তা কেবল ভিন গ্রহের কার ও পক্ষেই সম্ভব। চলুন তাহলে দেখে নেই বর্তমান বিশ্বের সব থেকে ট্যালেন্টেড এই ফুটবলারের রেকর্ড সমূহ –
সবথেকে বেশি (৭ বার) ফিফা ব্যালন ডি ওর জেতার মালিক একমাত্র ফুটবলার লিওনেল মেসি।এক সিজনে সবথেকে বেশি গোল করেছেন (২০১১-১২ মৌসুমে করা ৭৩ গোল) করা প্লেয়ার লিওনেল মেসি। বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ফুটবল ম্যাচ এল ক্ল্যাসিকোতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ২৩ গোল করা ফুটবলার লিওনেল মেসি ।
বার্সেলোনার হয়ে লিওনেল মেসি সবথেকে বেশি গোল করার রেকর্ড (৫৩৮ গোল করেছেন )
বার্সেলোনার হয়ে সবথেকে বেশি হ্যাট্রিক এর রেকর্ড গরেছেন লিওনেল মেসি (৩৭ টি)
বার্সেলোনার হয়ে সবথেকে বেশি ফ্রি কিকে গোল করার রেকর্ড লিওনেল মেসি (২৭ টি)
লা-লিগার ইতিহাসে সবথেকে বেশি অ্যাসিস্ট করা প্লেয়ার লিওনেল মেসি (১৩৭ টি)।
সবথেকে বেশি লা-লিগার প্লেয়ার অব ডা সিজন হওয়ার রেকর্ড গরেছেন লিওনেল মেসি (৬ বার)
সাউথ আমেরিকান প্লায়েরদের মাঝে সবথেকে কম বয়সে ১০০ ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েন লিওনেল মেসি ( ২৭ বছর, ২৬১ দিন)
কোপা আমেরিকার ইতিহাসে সবথেকে বেশি অ্যাসিস্ট করা ফুটবলার হলেন লিওনেল মেসি (১১ টি অ্যাসিস্ট)
মেসির গোল্ডেন বুট কয়টি
পর্তুগালের সেরা খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোকে পেছনে ফেলে রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো গোল্ডেন বুট অ্যাওয়ার্ড জিতলেন আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার সেরা তারকা লিওনেল মেসি।পুরো মৌসুমে ইউরোপিয়ান লিগে সর্বোচ্চ ৩৪ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতলেন মেসি।
এ পুরস্কার পাওয়ার আগে সমান অবস্থানেই ছিলেন মেসি ও রোনাল্ডো। দু’জনই চারবার করে গোল্ডেন বুট জয় করেন। চলতি মৌসুম শেষে রোনাল্ডোকে ছাড়িয়ে গেলেন লিওনেল মেসি ।এবারের গোল্ডেন বুট জয়ের ক্ষেত্রে মেসির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন লিভারপুলের মিসরীয় খেলোয়াড় মোহাম্মদ সালাহ। গত এপ্রিলে মেসির চেয়ে ৮ গোল বেশি ছিলো সালাহর। কিন্তু স্প্যানিশ ফুটবল লিগে বার্সেলোনার হয়ে শেষ ছয় ম্যাচে আট গোল করে এবারের ইউরোপিয়ান লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক হন লিওনেল মেসি ।
ইংলিশ লিগে লিভারপুলের হয়ে ৩২ গোল করেছেন সালাহ। তার চেয়ে দুই গোল বেশি নিয়ে ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো গোল্ডেন বুট জিতলেন লিওনেল মেসি ।বার্সেলোনার হয়েই পাঁচবার এ কৃতিত্ব অর্জন করলেন লিওনেল মেসি । এর আগে ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১২-১৩ ও ২০১৬-১৭ মৌসুমেও এই ট্রফি জিতেছিলেন ৩৫ বছর বয়সী মেসি।
মেসির মোট ক্যারিয়ারে গোল কত
সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৮৫৫ ম্যাচে ৬৯৬ টি গোল করেছেন লিওনেল মেসি । বার্সেলোনার হয়ে এখন পর্যন্ত ৭১৭ ম্যাচে ৬২৬ টি গোল রয়েছে। এর মধ্যে লা লিগাতে ৪৩৭ টি, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগএ ১১৪ টি আর কোপা দেল রে,স্প্যানিশ সুপার কাপ, ক্লাব বিশ্বকাপ মিলিয়ে রয়েছে ৭৫টি। আর্জেন্টিনার হয়ে লিওনেল মেসির রয়েছে ১৩৮ ম্যাচে ৭০টি গোল ।
মেসির হ্যাটট্রিক কয়টি
লিওনেল মেসি প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন ২০০৭ সালে, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। এক যুগ পেরিয়ে এসে করলেন ক্যারিয়ারের ৫০তম হ্যাটট্রিক, সেভিয়ার বিপক্ষে। হ্যাটট্রিকের হাফ সেঞ্চুরি হয়ে গেল। এই ৫০টি হ্যাটট্রিকের ৮টি মেসি করেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগে। ৩২টি স্প্যানিশ লা লিগায়, তিনটি কোপা ডেল রেতে, একটি সুপার কাপে। বাকি ছয়টি হ্যাটট্রিক জাতীয় দলের জার্সি গায়ে।
মেসির আটটি চ্যাম্পিয়নস লিগ হ্যাটট্রিকের দুটি নকআউট পর্বে। এই দুই হ্যাটট্রিকই আবার বিশাল! ২০১২ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডে বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে করেছিলেন ৫ গোল। ২০১০ সালের এপ্রিলের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে আর্সেনালের বিপক্ষে করেছিলেন ৪ গোল।
২০১৬-১৭ চ্যাম্পিয়নস লিগে লিওনেল মেসি টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন। সেল্টিক ও ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে।হ্যাটট্রিক করার ক্ষেত্রে মেসির প্রিয় প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া, ওসাসুনা, এসপানিয়ল ও দেপোর্তিভো।
এই চার দলের বিপক্ষেই লা লিগায় মেসির তিনটি করে হ্যাটট্রিক আছে। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মেসির কোপা ডেল রেতেও হ্যাটট্রিক আছে। কাপের হ্যাটট্রিকসহ মোট চারটি এই এক দলের বিপক্ষেই করেছেন। সেভিয়ার বিপক্ষেও মেসির তিনটি হ্যাটট্রিক আছে। দুটি লা লিগায়, একটি সুপার কাপে। তিনটি হ্যাটট্রিক আছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষেও, দুটি লা লিগায়, একটি কোপা ডেল রেতে।
জাতীয় দলের হয়ে মেসির ৬ হ্যাটট্রিক সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, গুয়াতেমালা, পানামা ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে (২টি)। এর মধ্যে চারটি হ্যাটট্রিক প্রীতি ম্যাচে, একটি কোপা আমেরিকায়, অন্যটি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে বাছাই পর্বে মেসির হ্যাটট্রিক তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। সেদিন মেসির একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনা ২০১৮ বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছিল।
জাতীয় দলের হয়ে লিওনেল মেসি সর্বশেষ দুটি হ্যাটট্রিকই ইকুয়েডরের বিপক্ষে। বাছাই পর্বের পর বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক প্রীতি ম্যাচে আবারও হ্যাটট্রিক করেন।
ছয়টি ম্যাচে লিওনেল মেসি চারটি করে গোল করেছেন। এক ম্যাচে করেছেন ৪ গোল। ২০১০ ও ২০১১ সালে মেসি ছয়টি করে হ্যাটট্রিক করে। ২০১২ সালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ৯টি। লিওনেল মেসি ক্যারিয়ারে রেকর্ড আর রেকর্ড ।
কাতারে মেসির ১৫ রেকর্ড
শেষ পর্যন্ত লিওনেল মেসির হাতেই উঠল বিশ্বকাপের সোনালি শিরোপা ৩৬ বছর পর। আর বিশ্বমঞ্চের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন বিশ্বসেরা এই ফুটবলার লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপে প্রায় ১৫টি রেকর্ড গড়েছেন এই আর্জেন্টাইন জাদুকর। চলুন, একনজরে সেই রেকর্ডগুলো দেখে নেওয়া যাক।
বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে নেমেই রেকর্ডে নাম লেখান লিওনেল মেসি ক্যারিয়ারে। মেক্সিকোর আন্তনিও কারবাহাল ও রাফায়েল মার্কেজ, জার্মানির লোথার ম্যাথিউজ এবং ইতালির জিয়ানলুইজি বুফনের রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ড গড়েন। তবে কাতারে এই তালিকায় আছেন আরও তিনজন। এবার মেক্সিকোর আন্দ্রেয়াস গার্দাদো ও গিলার্মো ওচোয়া এবং পর্তুগালের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোও ৫টি বিশ্বকাপ খেলেছেন।
আটজন পাঁচটি বিশ্বকাপ খেললেও সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপ খেলেছেন লিওনেল মেসি । এতদিন সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপ খেলার তালিকায় ছিলেন বুফন (৩৬ বছর)। কিন্তু এই রেকর্ডের মালিক এখন লিওনেল মেসি।
বিশ্বমঞ্চে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। লুসাইলে ফাইনাল মিলিয়ে বিশ্বকাপের পাঁচ আসরে সব মিলিয়ে মেসি ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন লিওনেল মেসি । আর জার্মানির লোথার ম্যাথিউজ খেলেছেন ২৫টি ম্যাচ। একটি ম্যাচ এগিয়ে আছেন লিওনেল মেসি।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ৩১৪ মিনিট মাঠে থেকেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। আর ইতালিয়ান কিংবদন্তি পাওলো মালদিনি খেলেছেন দুই হাজার ২১৭ মিনিট। লিওনেল মেসি তার থেকে ৯৭ মিনিট বেশি মাঠে থেকেছেন ।
অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১৯টি ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিওনেল মেসি। আর মেক্সিকোকে ১৭টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাফা মার্কেজ। অধিনায়ক হিসেবে ২ ম্যাচে এগিয়ে আছেন লিওনেল মেসি ।
আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৩টি গোল করেছেন মেসি। আর গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা করেছেন ১০টি গোল। ৩ টি গোল বেশি লিওনেল মেসি ।
বিশ্বমঞ্চে সবচেয়ে বেশি গোলে সরাসরি অবদান লিওনেল মেসির। মোট ২১টি গোলে অবদান রয়েছে তার। এর মধ্যে ১৩টি গোল ও ৮টি অ্যাসিস্ট। মেসির পরেই আছেন জার্মানির মিরাস্লাভ ক্লোসা ও ব্রাজিলের রোনালদো। তাদের অবদান মোট ১৯ গোলে।
একমাত্র মেসিরই পাঁচটি ভিন্ন আসরে অ্যাসিস্ট করেছেন। মেসির পরে বাকি সবাই তিনটি ভিন্ন আসরে অ্যাসিস্ট করেছেন। এই তালিকায় আছেন দিয়াগো ম্যারাডোনা, পেলে, জেগোস লাতো ও ডেভিড বেকহ্যাম। একমাত্র মেসিই সবার থেকে বেশি অ্যাসিস্ট করেছেন ।
বিশ্বকাপে অ্যাসিস্টে দিয়াগো ম্যারাডোনার সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন মেসি। দুইজনেরই অ্যাসিস্ট সংখ্যা ৮টি।
বিশ্বকাপের নকআউটে কিংবদন্তি পেলের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন মেসি। নকআউট পর্বে দুইজনেরই অ্যাসিস্ট সংখ্যা ৬টি।
বিশ্বকাপে মেসির প্রথম ও সবশেষ গোলের ব্যবধান ১৬ বছর ১৮৪ দিন। মেসির পরেই আছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তার প্রথম ও সবশেষ গোলের ব্যবধান ১৬ বছর ১৬০ দিন।
বিশ্বকাপে মেসি সবচেয়ে বেশি ১১ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন। এর মধ্যে ২০২২ কাতারেই পাঁচবার, যেটি এক আসরেও সর্বোচ্চ।
বিশ্বমঞ্চে মেসিই একমাত্র ফুটবলার যিনি এক আসরে গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করেছেন।
একমাত্র মেসিই এক আসরে তিনটি ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন।
ফুটবল ইতিহাসে লিওনেল মেসিই প্রথম ফুটবলার যিনি দুটি গোল্ডেন বল জিতেছেন। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ও ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে এই ক্ষুদে জাদুকর দুটি গোল্ডেন বল জিতেছেন ।
মেসির যে রেকর্ডগুলো কখনোই ভাঙবে না
সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। এ নিয়ে কারও সন্দেহ হওয়ার কথা নয়। উজ্জ্বল ক্যারিয়ারে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এর মধ্যে কয়েকটি রেকর্ড যা কখনোই ভাঙবে না।২০০৪ সালে বার্সেলোনায় সিনিয়র ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন লিওনেল মেসি। এর পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি লিওনেল মেসিকে। গড়েছেন একের পর এক মহাকীর্তি। যা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ফুটবল ইতিহাসে আজিবন।
এখন পর্যন্ত বার্সার জার্সি গায়ে ৪০০ ম্যাচ খেলেছেন খুদে জাদুকর লিওনেল মেসি। করেছেন ৩৬৫ গোল। ম্যাচ প্রতি গোলের হার ০.৯১। ক্লাবটির হয়ে এটি অনন্য রেকর্ড। যা আর কেউ করে দেখাতে পারবে বলে মনে হয় না ।
এক লা লিগা মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা লিওনেল মেসি। ২০১১/১২ মৌসুমে ৫০ গোল করেন তিনি। যা কখনো কেউ ভাঙতে পারবে না বলে মত তাদের।মেসির ক্যারিয়ারে রয়েছে ২৮টি হ্যাটট্রিক,একে ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে করছেন তারা।লিওনেল মেসি একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি লা লিগা ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৩৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ভবিষ্যতে কেউ করে দেখাতে পারবে বলে ভাবেন না ফুটবল বিশ্লেষকরা।
বরং এসব রেকর্ড আরও মজবুত হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, মেসির বয়স এখন ৩৫। তবু গোলক্ষুধা একটুও কমেনি। বরং তার ফুটবল মস্তিষ্ক আরও ক্ষুরধার হয়ে উঠছে। চলতি মৌসুমে এর জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। লিওনেল মেসি দিন দিন আগুন হয়ে উটছে ।
এ মৌসুমে লা লিগায় এখন পর্যন্ত ১৮ ম্যাচে করেছেন ১৬ গোল। যদি এভাবে খেলে যেতে পারেন তাহলে ৪০০ গোল করা হবে মামুলি ব্যাপার। আর যদি তা বাস্তবে রূপ নেয় তাহলে ফুটবলের বরপুত্রের লিওনেল মেসি এ রেকর্ড ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে।এ কীর্তি গড়ার পথে ওয়ান্ডার ম্যানের হ্যাটট্রিক ও মাইলফলকের রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ হবে। লিওনেল মেসি মনে হয় অন্ন গ্রহর খেলোয়াড় ।
মেসির ম্যাজিক ফ্রি কিক কতটি
লিওনেল মেসি ফ্রি কিক থেকে ৬০টি গোল করেছে এবংরোনালদোর ফ্রি কিক থেকে ৫৮টি গোল করেছে ।সাত বার বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব জয়ী লিওনেল মেসি এখন পর্যন্ত ফ্রি কিক থেকে পেশাদার ফুটবলে ৬০টি গোল করেছেন।যদি ২০১৭-১৮ মৌসুম থেকে ধরা হয়, লিওনেল মেসি ধারেকাছেও কেউ নেই ইউরোপে।এই সময়ে লিওনেল মেসি ১৯৬টি শট নিয়েছেন ফ্রি কিক থেকে, এর মধ্যে ৫৪টি শটই টার্গেটে ছিল, যার মধ্যে ২১টি গোল হয়েছে।
ট্রফির সঙ্গে যেসব রেকর্ডের ছড়াছড়ি মেসির
কিংবদন্তি হতে হলে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা নাকি উঁচিয়ে ধরতেই হবে লিওনেল মেসিকে। ক্লাব ফুটবলে সবকিছু জেতা আর্জেন্টাইন তারকার অপূর্ণতা ছিল ওই একটাই বিশ্বকাপ । ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ, প্রতিবেশীদের দেশে খুব কাছে গিয়েও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হলো না আর্জেন্টিনা ও লিওনেল মেসির হেরে যেতে হয় তাকে।
দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়েই লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনাকে করলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি জয়ের স্বাদ পেল আলবিসেলেস্তেরা। একই সঙ্গে লিওনেল মেসি গড়েছেন বেশকিছু ব্যক্তিগত রেকর্ড। কাতারের দোহার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ৮০ হাজারের বেশি দর্শক সাক্ষী হলেন রেকর্ডগুলোর।
দুই গোল্ডেন বলজয়ী একমাত্র ফুটবলার লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাস ভাঙার হাতছানি ছিল লিওনেল মেসির সামনে। দেশকে শিরোপা জেতাতে না পারলেও ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। জিতেছিলেন বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার গোল্ডেন বল। এবার কাতার বিশ্বকাপেও গোল্ডেন বল জেতেন তিনি। বিশ্বকাপে দুবার সেরা ফুটবলার হওয়ার নজির নেই কারও। এই রেকর্ড গড়াবিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হয়লেন লিওনেল মেসি
বিশ্বকাপের সব পর্বে গোল করেন লিওনেল মেসি ।৯২ বছরের ইতিহাসে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের সব পর্বে গোল করার অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের এক আসরে গ্রুপপর্ব, রাউন্ড অব সিক্সটিন, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করে এই রেকর্ড গড়েছেন সাতবারের বর্ষসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপে এমন নজির নেই আর কারও।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন লিওনেল মেসি ।আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন লিওনেল মেসি। পেছনে ফেলেছেন আর্জেন্টিনার আরেক কিংবদন্তি গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল করার মাধ্যমে ফুটবল বিশ্বকাপে ছাড়িয়ে যান বাতিস্তুতার ১০ গোলের রেকর্ডকে। আর ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে দুই গোল করে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন তিনি। বিশ্বকাপে মেসির গোল ১৩টি।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন লিওনেল মেসি ।কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে নামার আগে ২৫ ম্যাচ খেলেছিলেন লিওনেল মেসি। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে নেমে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২৬ ম্যাচ খেলার নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে মেসি পেছনে ফেলেছেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক লোথার ম্যাথিউজের ২৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ড।
সবচেয়ে বেশি মিনিট খেলেছেন লিওনেল মেসি ।ফাইনালের আগে বিশ্বকাপে মেসি খেলে ছিলেন সর্বমোট ২১৯৪ মিনিট। সময়ের হিসাবে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। ২২১৭ মিনিট খেলে শীর্ষে ছিলেন ইতালির সাবেক অধিনায়ক পাওলো মালদিনি। ফাইনালে ২৪ মিনিট খেলে শীর্ষে উঠে যান আর্জেন্টাইন প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি।
সবচেয়ে বেশি জয় বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিতিয়ে আরও একটি রেকর্ড স্পর্শ করলেন তিনি। বিশ্বকাপের এ পর্যন্ত ১৭ ম্যাচ জিতে এই তালিকায় এককভাবে শীর্ষে ছিলেন জার্মানির সাবেক তারকা মিরোস্লাভ ক্লোসা। ফাইনাল জিতে ক্লোসার এই রেকর্ডে ভাগ বসালেন সাতবারের বর্ষসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি।
সবচেয়ে বেশি গোলে অবদান লিওনেল মেসি ।বিশ্বকাপে লিওনেল মেসি গোল করেছেন ১৩টি এবং করিয়েছেন ৯টি। দলের ২২টি গোলে অবদান রয়েছে তার। বিশ্বকাপের ১২ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের ১০টি গোল করিয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবল সম্রাট পেলে। দলের মোট ২২টি গোলেও অবদান রয়েছে তার। ফাইনালে ২ গোল করে ফুটবল সম্রাট পেলেকে ছুঁয়েছেন লিওনেল মেসি। পেয়েছেন বিশ্বকাপ ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url